ঝিনাইদহ জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছে ভোরের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক রোকনুজ্জামান মিলন। আনসারের জেলা কমান্ড্যান্ট সোহাগ হোসেন ও মহেশপুর উপজেলা টিআই হুসাইনসহ আনসার সদস্যরা তাকে মারপিট করে একটি ঘরে আটকে রাখে। পরে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে।
সংবাদকর্মীরা জানায়, আগামী ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আনসার অফিসে নির্বাচনকালীন অস্থায়ী সদস্য নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। সেই খবর সংগ্রহের জন্য ভোরের কাগজ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি রোকনুজ্জামান মিলন সেখানে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তার সঙ্গে অসদাচরণ শুরু করে জেলা কমান্ড্যান্ট সোহাগ। এক পর্যায়ে তাকে টেনে হিচড়ে একটি রুমে আটকে রাখা হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সংবাদিক রোকনুজ্জামান মিলন বলেন, আমি সংবাদ সংগ্রহের জন্য ওই অফিসের বাইরে অপেক্ষা করছিলাম। জেলা কমান্ড্যান্ট সোহাগ হোসেন এক নারীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছিলো। আমি এগিয়ে তার কাছে গেলে আমাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলে।
আমি সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে আনসার সদস্যরা আমাকে টেনে হিচড়ে একটি রুমের মধ্যে নিয়ে কিল-ঘুষি মারে। পরে আমাকে ১ ঘণ্টা আটকে রাখার পর আমার মোবাইল দেয়। আমি ওই কর্মকর্তাসহ এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জেলা কমান্ড্যান্ট সোহাগ হোসেন বলেন, আসলে যেভাবে বলা হচ্ছে তেমন কিছু ঘটেনি। সে প্রথমে পরিচয় না দেয়ায় তাকে রুমের মধ্যে বসিয়ে রেখিছিলাম। তাকে মারধর বা লাঞ্ছিত করা হয়নি।
টিএইচ